এ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশও এই মহামারীর মরণ ছোবল থেকে মুক্ত নয়। দিনের পর দিন মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই আছে।
প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে এর অশনিসংকেতে শঙ্কিত হচ্ছে সর্বমহল।আর এমনই এক ভয়াবহ পরিস্থিতির ভিতরে কিছু মানুষ জীবন বাজী রেখে মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে অসহায় নিপীড়িত দারিদ্রের নির্মম কষ্টে জর্জরিত মানুষসহ ভাইরাস সৃষ্ট এক অনাকাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির শিকারে আবদ্ধ যারা না পারছে মুখে বলতে না পারছে চুপ করে থাকতে, এমন কিছু মানুষকে এই দুঃসময়ে খাবার সামগ্রী বিতরণসহ নগদ অর্থ প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। রাখছেন মানবতা, সামাজিকতা ও রাজনৈতিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।আর এমনই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে শুধু এই সময়েই নয় বরাবরই অবদান রেখে যাচ্ছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরান শাহিদ প্রিন্স মোহাব্বত। যিনি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় করোনাকালীন সময়ে রয়েছেন দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে।অত্র এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই প্রিন্স মোহাব্বত সত্যিকারই একজন জনমুখী ও মানব দরদী রাজনীতিবিদ। মনের দিক থেকে তিনি অত্যন্ত উদার। দীর্ঘদিন থেকেই তিনি অত্র এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাশে রয়েছেন।এদিকে, এই করোনা ভাইরাসের মুহূর্তেও প্রতিদিনই তিনি মানুষের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।এসব ব্যাপারে কথা হয় এই জনদরদি আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স মোহাব্বত এর সাথে, তিনি জানান – ‘আমার প্রাণাধিক প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার নির্দেশনায় ও অনুপ্রেরণায় আমি আছি অসহায় মানুষের পাশে। আমি সবসময়ই জনগণের পাশে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি। করোনার এ অপ্রীতিকর সময়ও আমি বরাবরের মতো জনগণের প্রত্যক্ষভাবে পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।জনদরদি এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, করোনা আসার কয়েকদিন পরে থেকেই যখন এটা দীর্ঘায়িত হওয়া শুরু করল, তখন থেকেই আমার মনে হল দেশে যে কর্মহীন মানুষ, এরা কিভাবে তাদের নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজন গুলো পূরণ করবে, যারা দিন আনে দিন খায় তারা কিভাবে দু’মুঠো ভাত খাবে। এছাড়াও এমন কিছু মানুষ আছে যারা মাসের খরচ দিয়ে মাসে চলে তারাইবা কিভাবে তাদের পরিবার নিয়ে চলবে। এমন কিছু ভাবনা থেকে মনে হলো শুধু ভাবনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে এই মানুষগুলোকে খুঁজে খুঁজে তাদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যদি কিছু করা সম্ভব হয় তবেই সত্যিকারের মনুষ্যত্বের পরিচয় হবে। এমন মনোভাব থেকেই আমার মা তূল্য সম্মানীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ পালানার্থে আজ প্রায় আড়াই মাসেরও অধিক সময় থেকে প্রতিনিয়ত এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোর মুখে এক চিলতে হাসি ফোটানোর প্রয়াস নিয়ে সেবাব্রতে নেমেছি।
গরিব-দুঃখীদের নিঃস্বার্থ এসব দান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতির শিকার এ মানুষগুলোকে সাহায্য সহযোগিতা অত্যন্ত নিভৃতে করে যাচ্ছি।এদিকে, জননেত্রী শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে একজন মহীয়সী নেত্রী। উনার দিকনির্দেশনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে আমি আমার সার্বিক কার্যক্রমগুলো করে আসছি। আমি আমাদের সবার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।